গরুর মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা


গরুর মাংস খেলে কি হয় জেনে নিনগরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি।আপনি যদি সত্যি গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই এ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
গরুর মাংসের উপকারিতা ওঅপকারিতা
এ আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছি গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষতিকারক দিকগুলো। এছাড়াও আরো বিভিন্ন টপিকে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যেমন-স্টোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বেড়ে যায় ইত্যাদি। গরুর মাংস আমাদের জীবনে অনেক ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

গরুর মাংসের উপকারিতা

গরুর মাংস প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে। ভিটামিন যেমন -ভিটামিন বি-৩,বি-৬,বি-১২ ইত্যাদি বিদ্যমান থাকে। আমরা অনেকে জানিই না গরুর মাংসের রয়েছে প্রয়োজনীয় নয় টি পুষ্টি উপাদান। আমাদের দেশে গরুর মাংসের চাহিদা অনেক। প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি ১২,ফসফরাস, নাইয়াসিন, ভিটামিন বি৬,আইরন, রিবোফেলভিন,সেলেনিয়াম ইত্যাদি বিদ্যমান থাকে। গরুর মাংস ব্লাড প্রেসার বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের ব্লাড প্রেসার লো তাদের জন্য গরুর মাংস অনেক উপকারী।

গরুর মাংসের অপকারিতা

উপকারিতার পাশাপাশি গরুর মাংসের কিছু ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে। অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। এতে বেড়ে যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যর ঝুঁকি। আর সেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বড় ধরনের অসুখ ও দেখা দিতে পারে। আবার গরুর মাংসের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়া জাত লাল মাংস খেলে মৃত্যুর ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে এর ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।

গরুর মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে

গরুর লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। গরুর মাংস খাওয়া বাদ দিলে আপনার ওজন কমতে পারে। গরুর মাংস শরীরে অ্যাসিডিক লোডের সৃষ্টি করে। গরুর মাংসে লিভারের সমস্যা বাড়ে তাই সবারই উচিত পরিমাণমতো খাওয়া। গরুর মাংস খেলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে।

কম সময়ে গরুর মাংস সেদ্ধ করার কৌশল

আমরা অনেকেই জানিনা গরুর মাংস কিভাবে কম সময়ে সিদ্ধ করা যায়। প্রাচীনকালে গরুর মাংস সেদ্ধ করার জন্য তামার পয়সা ব্যবহার করা হতো। আবার আমরা অনেকেই মনে করি চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিলেই মনে হয় গরুর মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তা একদমই সঠিক না। এতে করে গরুর মাংসে থাকা প্রোটিন জমে গরুর মাংস আরো শক্ত হয়ে যেতে পারে।

 গরুর মাংস কম সময়ে সিদ্ধ করার জন্য চিনিও ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার গরুর মাংস রান্না করার সময় তাতে কাঁচা পেঁপে অথবা পেঁপে বাটাও দিয়া যেতে পারে। এতে করে আমরা তাড়াতাড়ি গরুর মাংস সেদ্ধ করে নিতে পারব। গরুর মাংসের স্বাদও থাকবে অটুট।

বর্তমানে গরুর মাংসের দাম

আমাদের বাংলাদেশে গরুর মাংসের চাহিদা প্রচুর। চাহিদা অধিক হওয়ার কারণে গরুর মাংসের দামও অনেক। তবে ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। যেই মাংস আগে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যেত সেই মাংস এখন ৬৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে সবাই গরুর মাংস কিনতে পারছে।

গরুর মাংসে এলার্জি

গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি থেকে থাকে। তবে গরুর মাংসে সবারই এলার্জি হয় না। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে গরুর মাংসে এলার্জি হয়। মাংস খেলে যদি ত্বকে র‍্যাশ হয়, চুলকানি হয়, নাক বন্ধ হয়ে আসে ইত্যাদি হলে বুঝবেন আপনার গরুর মাংসে এলার্জি রয়েছে।আর এলার্জি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ওই নির্দিষ্ট প্রাণীর মাংস পরিহার করা। কারণ এলার্জি থেকে আপনি হতে পারেন আরো বিভিন্ন বড় সমস্যার সম্মুখীন।

লেখক এর মন্তব্য

আমার মতে গরুর মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া একদমই উচিত নয়। এতে করে আমাদের জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমি সবাইকে গরুর মাংস পরিহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে একটা কমেন্ট করে জানাবেন অথবা শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।













এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url