ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত


ব্যায়ামের কতক্ষণ পর খাবেন জেনে নিনব্যায়াম করার কতক্ষণ পর আসলে কি খাওয়া উচিত এ বিষয়ে নিয়ে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আপনি যদি সত্যি ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর কি কি খাবার খাওয়া উচিত এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের এই পুরাপুরি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছি ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর কি কি খাবার খাওয়া উচিত এই দিকগুলো। এছাড়াও আরো অনেক টপিকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

ব্যায়ামের পর প্রথমেই আপনারা টাটকা ফলের রস, কলা অথবা গ্লুকোজ খান। এমনকি সবজি মিশিয়ে খিচুড়িও খেতে পারেন। ডিম বা বাটার মিল্কের সঙ্গে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খান। আবার চিকেন স্যান্ডউইচ, ওটস, দুধ দিয়ে মুসেলি খান। ওপরের খাবারগুলো সবচেয়ে ভালো হয় ব্যায়াম করা শেষে ৪৫-৬০ মিনিটের মধ্যে খেয়ে নিলে।এতে আপনার শরীরের কর্ম ক্ষমতা ফিরে আসবে। কারণ প্রতিদিনের খাবার গুলোই আমাদের কর্ম ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।এ ধরনের খাবারগুলো খেলে পেটেও থাকে অনেকক্ষণ।ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর আমাদের খাওয়া উচিত এটা জানা আবশ্যক। 

ব্যায়াম করার পর শরীর ব্যথা

ব্যায়াম করার পরে অনেক পানি খেতে হবে। আপনি যদি ব্যায়াম করার পরে আপনার শরীরে পানি দেন তাহলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পাবে। ব্যায়াম করার পর শরীরের যে জায়গায় ব্যথা হবে সেই জায়গায় আস্তে আস্তে মাসেজ করতে হবে। আবার শরীরের যে জায়গায় ব্যথা হবে সে জায়গায় কুসুম গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে আস্তে আস্তে গরম শেখ দিতে পারি। ব্যায়াম করার পর শরীরের ব্যথা যদি সাত দিনেও ভালো না হয় তাহলে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এজন্য আমাদের ব্যায়ামের আগে সঠিক নিয়মে ওয়ার্ম আপ করে নিতে হবে। তাহলে ব্যায়াম করার পর শরীরের ব্যথা কম হবে।ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর আমাদের খাওয়া উচিত এটা জানা আবশ্যক। 
আরো পড়ুনঃলিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় 

সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত

আমরা সবাই কার্বোহাইড্রেট থেকে এনার্জি পেয়ে থাকি। এজন্য আমরা কলা, পাউরুটি খেতে পারি কারণ কলা পাউরুটিতে প্রচুর পরিমাণের কার্বোহাইডেট থেকে থাকে। কলা পাউরুটিতে ব্যায়ামের অলসতা ভাব দূর হয়ে যায়। কলার মধ্যে পাওয়া যাই কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার আর পাউরুটিতে পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট। যেটা আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি দেবে।ব্যায়াম করার কতক্ষন পর খাওয়া উচিত এটা জানা আবশ্যক। 

ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা কি ঠিক

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের শরীর ফিট রাখা জরুরী। আর শরীর ফিট রাখতে প্রয়োজন আমাদের ব্যায়াম। ব্যায়াম করার জন্য অনেকেই সকালকে বেছে নেন। আবার অনেকেই কাজের চাপে সকালে ব্যায়াম করতে পারেন না। রাতে ব্যায়াম করার সুযোগ পান। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ব্যায়াম করে ঘুমালে রাতের ঘুম ভালো হয়। আবার কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করলে ঘুম ব্যাহত হয়।ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর আমাদের খাওয়া উচিত এটা জানা আবশ্যক। 

 তবে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করলে ঘুমের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। কিন্তু এ সময় হালকা ব্যায়াম করতে হবে এবং ব্যায়ামের পর স্নাক্স জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি ঘুমের আগে গোসল করে নিলে আরো ভালো হয়। ব্যায়াম এর সাথে সাথে ঘুমোতে গেলে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয় এর কারণ এই সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীর তখন বেশি সক্রিয় থাকে।ব্যায়াম করার কতক্ষন পর খাওয়া উচিত এটা জানা আবশ্যক। 
এই বিষয়গুলো ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে অনেকেরই ঘুমের আগে ব্যায়াম করলে কোন সমস্যা হয় না বরং কখনো কখনো ব্যায়াম করলে ঘুম আরো ভালো হয়। আসলে এক সপ্তাহ ব্যায়াম করলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কোন দলের মধ্যে পড়ছেন। যদি ঘুমোতে আপনি সমস্যা বোধ করেন তাহলে ঘুমানোর দু'ঘণ্টা আগে ব্যায়াম করুন। এটি ঘুমের আগের সারাদিনের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত এটা জানা আমাদের আবশ্যক। 

ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত

আপনাকে এমন খাবার খেতে হবে যাতে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে। আপনি যদি ঠিকভাবে খাবার নিয়ে নিতে পারেন আর শরীরের ঘাটতিকে পূরণ করে যান তাহলে ব্যায়াম করার ফলাফল আপনি দ্বিগুণ পাবেন। ব্যায়াম করার পর আপনার বডির সব মাসেলস ভেঙ্গে যায়। এজন্য আপনার প্রোটিন নেয়া দরকার। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে ব্যায়াম করার পর সঙ্গে সঙ্গে খাবার না খাওয়ার। অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর খেতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

আমার মতে সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীর ফিট রাখা অনেক জরুরী। আর শরীর ফিট রাখতে আমাদের প্রয়োজন ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ঘুম ভালো হয়। শরীরে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর আমাদের শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকবে। তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে একটা কমেন্ট করে জানাবেন অথবা শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url