লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়


লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিনলিভার সিরোসিস থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এ বিষয়টি নিয়ে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি আপনি যদি সত্যি লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
এ আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছি লিভার সিরোসিস থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এই দিকগুলো। এছাড়াও আরো অনেক টপিকে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

লিভার সিরোসিস হচ্ছে মানুষের জটিল একটা সমস্যা। যাদের খাদ্য অভ্যাস ঠিক নেই, যারা মদ্যপান করেন, যাদের হঠাৎ করেই ওজন বেড়ে যায় তারাই বেশিরভাগ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এছাড়াও শরীরের যে কোন অংশ থেকে লালচে বাদামী রং এর দাগছোপ তৈরি হবে, শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হবে, ঔষধের সেনসিভিটি বেড়ে যাবে ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

লিভার সিরোসিস কি ভালো হয়

লিভার সিরোসিস রোগীদের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে, পেট ফুলে যাই, হাত পা ফুলে যায় আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে দেখা দেয়। লিভার সিরোসিস ভালো হয় না তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। লিভারের যে অবশিষ্ট অংশ রয়েছে সেই অবশিষ্ট অংশের কার্যক্ষমতা ওষুধের মাধ্যমে বাড়ানো যায়। লিভারের ক্ষয়প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি ধীর হয় অর্থাৎ যেসব রোগীকে মাসে তিনবার হাসপাতালে আসতে হতো তাকে মাসে একবার আসতে হয়। লিভার সিরোসিস রোগীকে সারা জীবন ডাক্তারের ফলোআপে থাকতে হবে।

লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে

সিরোসিস চিকিৎসার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ খাবার ব্যালেন্স ডায়েট খুবই জরুরী। পেটে পানি জমার প্রতিকার খাদ্যনালির রক্তক্ষরণ প্রতিরোধই হচ্ছে চিকিৎসার মূলমন্ত্র। কারণ লিভার সিরোসিসের পুরানো কোন নিরাময় নেই।জটিলতা প্রতিরোধ করা এবং কারণ পাওয়া গেলে তার প্রতিকার করাই হচ্ছে চিকিৎসার উদ্দেশ্য। তবে সিরোসিস রোগীর খাদ্যের ব্যাপারে পুরো ভুল ধারণা রয়েছে।
সিরোসিস রোগীরা শতকরা মাত্র ২০ জন রোগী ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। লিভার সিরোসিস রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা না করালে তাড়াতাড়ি মৃত্যু হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এবং সিরোসিসের কারণ এর প্রতিকার করা গেলে কখনো কখনো ২০ বছর পর্যন্ত রোগী বেঁচে থাকতে পারে।

লিভার সিরোসিসের লক্ষণ

লিভার সিরোসিস অর্থ হচ্ছে লিভার শক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া। লিভার সিরোসিস হলে রোগীর খাদ্যে অনীহা হয়, শুরুর দিকে ওজন কমে যায়, রোগীর অবসাদগ্রস্থ তা চলে আসতে পারে, রোগীর পেটে পানি আসতে পারে, কথা ভুলে যেতে পারে, অতিরিক্ত ঘুম ভাব আসে।আবার কারো কারো রক্ত বমিও হতে পারে।রোগী চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে রোগী পাগলের মতো আচরণ করে এমনকি কামড়ে পর্যন্ত দিতে পারে,অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করে ইত্যাদি।

লিভার সিরোসিস রোগীর খাবার

লিভার মানব দেহের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি। লিভারের কোন রোগ থাকলে আমাদের দেহের শক্তি যোগানোর জন্য সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। লিভার সিরোসিস রোগী সাধারণ খাবারের মধ্যে শাকসবজি, সালাত এবং দেশি-বিদেশি কাঁচা ফলগুলো বেশি বেশি খাবে। ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন খাবার এর মধ্যে হলুদের গুড়া হাফ চা চামচ, কালো গোলমরিচ ৪/৫ টুকরা গুঁড়ো করে এক গ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খাবে।

 দুপুরের খাবারের এক ঘন্টা আগে ২ টেবিল চামচ আমলার রস এবং ২ টেবিল চামচ কললার রস খেতে হবে আবার রাতে ঘুমানোর আগে এক কোয়া রসুন পেস্ট করে অথবা চাবিয়ে খেয়ে নিতে হবে। এই খাবারগুলো খেলে লিভারকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

লেখক এর মন্তব্য

আমার মতে লিভার সিরোসিস একটি মানবদেহে ভয়ঙ্কর রোগ। এই অর্গানটির যত্ন করা সুস্থ অসুস্থ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা লিভারের যেকোনো সমস্যা যদি অনুধাবন করেন তবে ঘরে বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকের সরণাপন্ন হন। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিজের কমেন্ট বক্সে একটা কমেন্ট করে জানাবেন অথবা শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url