মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিনমানসিক রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এই বিষয়টি নিয়ে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আপনি যদি সত্যি মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিভাবে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
এ আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছি কিভাবে মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই দিকগুলো। এছাড়াও আরো অনেক টপিকে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
আমরা সকলেই শারীরিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আমরা তেমন খেয়াল রাখি না। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আমাদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। কিন্তু আমাদের উভয়েরই উচিত শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা। বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছি। কিন্তু কেউ কাউকে ওইরকম ভাবে বুঝতে দিই না।
মানসিক রোগ কি ভালো হয়
আমরা অনেকেই বলে থাকি চিকিৎসা করে কোন লাভ নেই মানসিক রোগ কখনোই ভালো হয় না কিন্তু এই কথাটা একদমই ভুল। সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব না এই রোগটি কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই রোগটি শতভাগ নির্মূল হয় না। তবে অল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া যায়।
মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ
আপনি যদি সারাদিন অনেক ক্লান্তি অনুভব করেন এবং দুর্বল লাগে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকে তাহলে আপনি মনে করবেন আপনি হয়তো কোন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আর আপনি যদি মানসিক সমস্যায় ভুগেন তাহলে এই লক্ষণ গুলো অবশ্যই আপনার মধ্যে থাকবে। মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি,গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ ইত্যাদি আপনি অনুভব করতে পারেন। কোন কিছু আপনার ভালো লাগবে না সব সময় অশান্তিবোধ হবে।
আরো পড়ুনঃ গরুর মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক রোগ হয়তো পুরাপুরি নিরাময় হবে না, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। আপনার যদি মানসিক সমস্যা হয় তাহলে আপনার ভিতরে বিপর্যয়মূলক বিভিন্ন চিন্তা আসতে পারে। আর এই চিন্তাগুলোকে আমাদের মন থেকে দূর করতে হবে। আমাদের নিজেদের মনকে অতীত ও ভবিষ্যতের দিকে না পাঠিয়ে বর্তমানের চলমান মুহূর্তের ভেতর ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল আছে যেমন :
- নিরাময় হাসপাতাল, ঢাকা
- পাবনা মানসিক হাসপাতাল
- লাইফ স্প্রিং,ঢাকা
- মর্ডান সাইক্রেটিক হাসপাতাল
আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই হাসপাতালগুলোর সরণাপন্ন হতে হবে আপনাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করতে হবে।
মানসিক রোগের ওষুধ কতদিন খেতে হয়
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগের প্রকৃতি অনুযায়ী সারা জীবনই খেতে হয়। আবার কিছু কিছু রোগের স্বল্প মেয়াদেরও চিকিৎসা রয়েছে। মানসিক সমস্যার মধ্যে অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো ছয় মাস চিকিৎসা করার পর ভালো হয়ে যায়। কারো কারো বহুদিন পরে রোগটি আবারও পুনরায় ফিরে আসতে পারে। আবার অনেক রোগী বারবার আক্রান্ত হয় এবং তাদের চিকিৎসা নিয়েই স্বাভাবিক থাকতে হবে।
মানসিক রোগ কেন হয়
শুধুমাত্র আমাদের দেশেই না অনেক দেশে মানসিক রোগ নিয়ে মানুষ ভুগছে। আর মানসিক সমস্যার রোগীরা আমাদের দেশে অবহেলিত। মানসিক রোগীদেরকে সবাই অবহেলা করে গুরুত্ব দেয় না। মানসিক রোগের কারণ হিসেবে বলা হয় জিন, ভূত ডাইনির আক্রমণ। কিন্তু গবেষকরা বলেন তিনটি বিষয় মানসিক রোগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
- বংশগত
- পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব
- মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন
মানসিক রোগের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি ভাবে জানা যায়নি। আমাদের দেশে মানসিক রোগের কারণ নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
লেখক এর মন্তব্য
আমার মতে মানসিক রোগ একটি ভয়ংকর রোগ। যদিও আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন না। কিন্তু আমাদের সকলেরই মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমাদের সমাজে মানসিক রোগীকে অবহেলা না করে তাদের পাশে থেকে তাদেরকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা উচিত। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে একটা কমেন্ট করে জানাবেন অথবা শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url